বিলাসী জীবন-যাপনের মধ্যে থাকলেও বর্তমান সময়ে মা/দ/ক কান্ডে গ্রে/ফ/তা/রে/র পর থেকেই কারা/গা/রে বন্ধি জীবন-যাপন করছেন বলিউডের বাদশাহ খ্যাত শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। ধন-সম্পদে পরিপূর্ন থাকলেও দেশের আইন অনুযায়ী কা/রা/গা/রে সাধারন ব্যক্তিদের মতই সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে আরিয়ান খান। এরই সুবাধে পুত্রের জন্য রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমানের অর্থ পাঠালেন শাহরুখ খান।
মান্নাত-এর মতো রাজপ্রাসাদে ছিল তার বসবাস। অথচ এখন দিন কাটছে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জে/লে। তার পরিচয় এখন কয়েদি নম্বর ৯৫৬। অথচ বাবা-মা সাধ করে নাম রেখেছেন আরিয়ান খান। বলিউডের বেতাজ বাদশাহর পুত্র হয়েও বিন্দুমাত্র ছাড় পাচ্ছেন না আরিয়ান। কারা/গা/রে অন্যসব কয়ে/দির মতোই তাকে দিন কাটাতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে ঘুমানো, ওঠা, খাওয়াদাওয়া সব সারতে হচ্ছে। মা/দ/ক মামলায় গ্রে/ফ/তা/র হওয়ার পর আর্থার রোড জেলে আরিয়ান খানের এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। এই সময়ে তিনি জে/লে/র খাবার ঠিকমতো খেতেই পারছেন না। তাই বিস্কুট খেয়েই ক্ষুধা নিবারণ করছেন কিং খানের ছেলে। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে যথেষ্ঠ অসুবিধা হচ্ছে আরিয়ানের। গত এক সপ্তাহ করোনাজনিত কোয়ারেন্টিন সেলে ছিলেন আরিয়ান ও তার সঙ্গীরা। তবে সেই মেয়াদ পার হওয়ার পর এখন তিনি রয়েছেন সাধারণ সেলে। তার পরিচয়ে লাগানো হয়েছে কয়েদি নম্বর।
জেলের ভেতরে বাইরের খাবার আনার নিয়ম নেই। তাই জে/লে/র খাবারই খেতে হচ্ছে আরিয়ানকে। আবার বাইরে থেকে খুব বেশি টাকাও পাঠানো যায় না। মাসে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ হাজার রুপি দেওয়া যায় খাবার বাবদ। শাহরুখ ইতোমধ্যে সেই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন ছেলের জন্য। সাধারণ সেলে পাঠালেও এখনো জেলের পোশাক পরতে হয়নি আরিয়ানকে। এখনো তার পরনে রয়েছে বাসা থেকে নিয়ে আসা পোশাক। জেলের নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন ভোর ৬টায় উঠতে হয় আরিয়ানকে। ৭টার মধ্যে খেতে হয় নাস্তা। সকাল ১১টায় দেওয়া হয় দুপুরের খাবার এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাতের খাবার। বিকালে খোলা একটি জায়গায় কিছুটা হাঁটাচলার সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবার মুম্বাই উপকূলের প্রমোদতরী থেকে গ্রে/ফ/তা/র হয়েছেন আরিয়ান খান। তার বিরুদ্ধে মা/দ/ক মামলা দায়ের করেছে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। বারবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। এবং জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও মুক্তি মেলেনি তার। এমনকি বর্তমানে তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।