মাহমুদুর রহমান মান্না হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবীদ। এছাড়াও তিনি একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। মাহমুদুর রহমান মান্না এক সময় বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া তিনি আরো অনেক পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন এই সরকারের জাদুঘরে যাওয়ার সময় এসেছে।
এ সরকারের জাদুঘরে যাওয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মরহুম অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের দ্বিতীয় প্রয়ানবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম মাহফিলের আয়োজন করেছে।
মান্না বলেন, ‘এই সরকার বিদ্যুৎ উৎসবের আয়োজন করায় আমরা লোডশেডিং জাদুঘরে পাঠিয়েছি। এখন তার (সরকার) নিজে জাদুঘরে যাওয়ার পালা। তিনি বলেন, একের পর এক মিথ্যাচার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এখনই সময়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে বলেন, প্রকৃত বুদ্ধিজীবী হওয়া কঠিন। আমি আমার বাবা-মাকে হারিয়েছি। বুদ্ধিজীবী তারাই যারা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা অনুভব করবেন ভেতর থেকে। বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এবং তা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক আন্দোলনের বিশাল দায়িত্ব আসে।
অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ বলেন, এই আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপকে সুস্পষ্ট ও চিন্তাভাবনা করতে হবে, একদিকে যেমন দুঃসাহসিক কাজের জায়গা নেই, তেমনি সুযোগ নেওয়ারও কোনো জায়গা নেই। দেশের ক্ষমতাসীন দল অনেকেরই মূল্যায়ন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম খুবই কঠিন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্র বলে কিছু নেই। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পারে এমন অবস্থায় আমরা বসবাস করছি।
আয়োজক সংগঠন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে ও ইশতিয়াক আহমেদ বাবুল সভায় বক্তব্য রাখেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ছেলে জিয়া আহমেদ, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং সেই সাথে তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক পদে থেকেও দায়িত্ব পালন করে গেছেন।