স্কুলের বারান্দায় আড্ডা দেওয়ার জন্য ছাত্রটিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষক কান ধরলেন। আর ‘শাস্তির’ স্তম্ভ পড়ল তার ওপর। স্কুলের স্টাফ রুমে ঢুকে শিক্ষককে প্রায় নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যস্ত এলাকা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ত্রিমোহিনী প্রতাপচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্য শিক্ষকরাও আতঙ্কিত।
স্কুলের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করায় ছাত্রীর কান ধরে টেনেছিলেন শিক্ষক। আর এর জন্য তাকে ভয়ংকর শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। স্কুলের স্টাফ রুমে ঢুকে শিক্ষিকাকে প্রায় নগ্ন করে বেদম প্রহরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ত্রিমোহিনী প্রতাপচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক সংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় স্কুল ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন অন্য শিক্ষকরাও। খবরে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী অকারণে স্কুলের বারান্দায় ঘোরাফেরা করছিল।
তাকে শায়েস্তা করতে কান টেনে ধরেন স্কুল শিক্ষিকা চৈতালী চাকি। এরপরই ঘটে বিপর্যয়। মেয়েটির কথা শুনে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরাও একসঙ্গে স্কুলে ছুটে আসেন। স্টাফ রুমে ঢুকে বস্ত্রবিহীন করে প্রহর করেন উক্ত শিক্ষিকাকেন। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এতে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুক্রবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমল কুমার জৈনের মধ্যস্থতায় ব্লক প্রশাসনের তরফে জয়েন্ট বিডিও এবং জেলা স্কুল পরিদর্শক ঘটনাটি সমাধান করতে আসেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।শুক্রবার প্রতাপ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক ব্লক প্রশাসনের উপস্থিতিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে মধ্যস্থতা করেন।
উল্লেখ্য, উক্ত আলোচিত এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বৃহস্পতিবার। স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী অকারনে স্কুলের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করার কারনে তাকে কান ধরে টেনেছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। এর ঘটনার পরপরই ঘটে বিপর্যয়। মেয়েটির কথা শুনে প্রতিবেশীসহ তার পরিবারের লোকজনও স্কুলে ছুটে আসেন। স্টাফ রুমে ঢুকে প্রায় বস্ত্রহীন করে বেদম প্রহার করেন সেই শিক্ষিকাকে।