Friday , January 10 2025
Breaking News
Home / Countrywide / এবার ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করে বিপাকে সেই শিক্ষক, জানা গেল কারন

এবার ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করে বিপাকে সেই শিক্ষক, জানা গেল কারন

সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষকরা। যার ফলে সমাজে শিক্ষকদের প্রতি নেতিবাচক ধারনার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব কর্মকান্ডের কারনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের পাঠাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। শিক্ষার্থীদের সাথে সাধারনত শিক্ষকের সম্পর্কেটা ভিন্ন হলে প্রশ্ন উঠে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায়। এবার ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের গোপনে বিয়ে নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে ফেনীর সোনাগাজীতে।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে “গোপনে বিয়ে করার” অভিযোগে এক শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ। অভিযুক্ত শেখ ফরিদ রনি উপজেলার আল হেলাল একাডেমির খণ্ডকালীন শিক্ষক। তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ বৈঠক করে তাকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, শেখ ফরিদ রনি সাত-আট মাস আগে আল হেলাল একাডেমিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। একপর্যায়ে স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি বিদ্যালয়ে জানাজানি হলে ছাত্রীর পরিবার সম্মান হানির ভয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে গোপনে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয়।

ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজি হয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।

আল হেলাল একাডেমির প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, “অভিযোগের সত্যতা জানতে পেরে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সামশুল হকের নির্দেশে তাকে ক্লাস কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পরিচালনা পর্ষদ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শেখ ফরিদ রনি বলেন, “পারিবারিকভাবে আকদ হয়েছে, বিয়ে হয়নি।”

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীর আকদ করা যায় কি-না, এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে মনোমালিন্য থাকায় তারা বিষয়টি বাজেভাবে উপস্থাপন করে চারদিকে ছড়িয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণেও আমাকে ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় এক পর্যায় ওই ছাত্রীকে শিক্ষকের সাথে গোপনে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়ে তার পরিবার। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়া পর আলোচনা ঝড় উঠে এলাকায়।

About Babu

Check Also

কৃষকদল নেতার জুয়ার আসরে অভিযান, আইনজীবী-কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৯

ময়মনসিংহে এক জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে আইনজীবী ও কাউন্সিলরসহ ৯ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *