বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে এই বক্তব্যের পর তিনি প্রথম বারের মত আলোচনায় আসে। এরপর তিনি ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারত সরকারের কাছে মিনতি করেছে এমন একটি মন্তব্যের পর শুরু হয় নানা ধরনের বিতর্ক। এসকল মন্তব্যের পর ফের আলোচনায় তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীদের ব্যবহার করার উপায় বের করতে বলেছেন। তিনি বলেন: আমার খুব খারাপ লাগছে, আমার দলের ছেলেমেয়েরা, ছাত্রলীগের নেতারা, যুবলীগের নেতারা কাজ করতে পারে না, ব্যবসাও করতে পারে না। সামান্য ব্যবসা করলেই তারা কুখ্যাত হয়। এছাড়াও, তারা তা করে না। সহজে চাকরি পাওয়া যায়।কিন্তু তারা দেশের সম্পদ আমাদের বুঝতে হবে কিভাবে তাদের চেতনা, যোগাযোগ দক্ষতা এবং সুবিধা ব্যবহার করতে হয়।
শুক্রবার (২ আগস্ট) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সিলেট জ্ঞানী ও গুণী মানুষের শহর, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সিলেট শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে। ছাত্রদের বলছি, আন্দোলন করো, কিন্তু পড়ালেখা ছেড়ে দিও না।’
তিনি বলেন, কলেজের প্রতি আমার বিশেষ ভালোবাসা ও দায়িত্ব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে প্রথম স্থান অধিকার করে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
এ সময় মন্ত্রী সৈয়দ মুজতবা আলী সম্পর্কে বলেন, সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন জাতীয় ভাষার অগ্রদূত। ছাত্ররা ভাগ্যবান যে তার নামে বাসভবনে জায়গা পেয়েছে।
উপাচার্য শাবি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ ড. আখতারুল ইসলাম শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং অ্যান্ড গাইডেন্সের পরিচালক আমিনা পারভীন, অ্যাটর্নি মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, ছাত্র প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, হলের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু সাইদ আরেফিন খান, সৈয়দ মুজতবা আলীর নাতি সৈয়দ রুহুল আমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারত সরকারের কাছে মিনতি করেছে এমন মন্তব্যের পর 48 ঘন্টার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের পদত্যাগ করার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে এখনো তিনি দলের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। এই নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়।