মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা দেখালেও তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনোরূপ আগ্রহ দেখাচ্ছে না মিয়ানমার। যার কারনে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত শরনার্থীদের নিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থা বা ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারকে তেমন কোনো চাপ প্রয়োগ করতেও দেখা যাচ্ছহে না।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সেলর ডেরেক এইচ শোলেট আজ ঢাকা সফরে আসছেন। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ এই উপদেষ্টা। সফরে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে তার ঢাকা সফরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত শরনার্থী ইস্যুটি বেশি প্রাধান্য পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসার পরদিন বুধবার সকালে শোলেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দেখা করবেন। একইদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ব্লিঙ্কেনের উপদেষ্টা এরপর সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা সফরে মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থী ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দেবেন শোলেট। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত শরনার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা, প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে কীভাবে চাপ দেওয়া যায় এবং বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২১ সাল পর্যন্ত, ১০ লক্ষ এরও বেশি মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থীরা বর্তমান সময়ে পর্যাপ্ত আশ্রয়, খাবার, পানি এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাবের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে জনাকীর্ণ শিবিরে বসবাস করছে। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে এবং যেটা একটি চলমান সঙ্কট, যার জন্য মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থীদের চাহিদা ও মানবাধিকার মোকাবেলায় অবিরত আন্তর্জাতিক মনোযোগ এবং সমর্থন প্রয়োজন।