Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো রাব্বানী , এডিসি হারুন জামায়াত-বিএনপি পরিবারের ছেলে

এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো রাব্বানী , এডিসি হারুন জামায়াত-বিএনপি পরিবারের ছেলে

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত রমনা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের পরিবার বিএনপির সদস্য বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। জামায়াত সমর্থক হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাব্বানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এডিসি হারুনকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন। হারুনের বাবা-মা জামায়াত সমর্থক বলে দাবি করেন তিনি। পোস্টে এডিসি হারুনের পরিচয় ও গ্রামের বাড়ি উল্লেখ করে গোলাম বাব্বানী বলেন, হারুনের বাবা আশাশুনির মারিয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জামাল উদ্দিন এবং মা শেফালী বেগম দুজনেই জামায়াত সমর্থক ছিলেন। মরহুম বাবর আলী সানা একজন মুসলিম লীগার এবং সক্রিয় জামায়াত নেতা ছিলেন। চাচা- হুমায়ুন কবির ও মিলন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। এছাড়া বাবা ও মায়ের পরিবারের সবাই বিএনপি-জামায়াত সমর্থক।

রাব্বানীর অভিযোগ, জিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাকের (কক্ষ নং-৩১০) রুমমেট ছিলেন এবং তার সঙ্গে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর জিয়া হলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ভাইকে ছাত্রলীগের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে নাম দেন।

ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনুপ্রবেশকারী হিসেবে তিনি গোপনে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজ চালাচ্ছেন তা স্পষ্ট। জামায়াত-বিএনপি পরিবারের একজন সদস্য ও ছাত্রদলের একজন কর্মীকে ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ পদে কীভাবে পদায়ন করা হয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয় ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্মম নির্যাতন করে সরকারকে বিব্রত ও বিব্রতকর। ক্ষোভ আর হতাশা তো আছেই!

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি হারুন অর রশিদকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়। এর আগে সকালে এডিসি হারুন অর রশিদকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ঢাবি শহীদুল্লাহ হলের বৈজ্ঞানিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *