সম্প্রতি রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে ঢাবির শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। পরে ছয় দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান তিনি পরে তার সাথে যোগ দিয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। অবশেষে রেলওয়ের কতৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলনের স্থগিতের ঘোষনা করেন তিনি। মীরসরাইয়ে রেল দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে রনি এ প্রসঙ্গে যা বললেন রনি।
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আহতদের দেখতে যান।
এ সময় তিনি বলেন, রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার সংগ্রাম চলছে এবং চলবে। রেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। কিন্তু মানুষ রেলে ভ্রমণ করতে গিয়ে সেবা তো দূরের কথা, নানারকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই মানুষ কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই নিরাপদে রেলপথে যাতায়াত করুক। রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার কারণে বারবার দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনায় অকালে প্রাণ হারায় ১১ জন। আহত অনেকেই হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। আপনাদের পাশে আমি আছি। আমি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাদের ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন গত ৭ জুলাই থেকে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বদলাতে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। গত ১০ জুলাই ঈদুল আজহার দিনেও তিনি অবস্থানে ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ মহিউদ্দিনের একক আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার কারনে নানা ধরনের দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছে যাত্রিরা বলে মন্তব্য করেন আন্দোলনকারী রনি। তিনি বলেন, এসব অব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।