গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রামে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সেই ১১ জন যুবকের পরিবারে এখনও বইছে শোকের ছায়া। রীতিমতো কাঁদতে কাঁদতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে স্বজনদের অনেকেই। তবে এদিকে এবার দেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে এ দুর্ঘটনার অন্যতম এক কারন তুলে ধরলেন ট্রেনটির চালক জহিরুল হক খান নিজেই।
তিনি জানান, মাইক্রোবাস খুব দ্রুত রেললাইন পার হচ্ছিল, এদিকে ট্রেনও খুব দ্রুত ছিল। ফলে, তিনি বুঝতে পারলেন যে একটি সংঘর্ষ হতে যাচ্ছে, কিন্তু সেই মুহূর্তে কিছু করার ছিল না তার।
গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) তিনি বলেন, এত কাছে গাড়িটি চলে আসছে যে ট্রেন থামানো যায়নি। সাধারণত, একটি ট্রেন থামাতে ৪০০ গজ পর্যন্ত দূরত্ব প্রয়োজন। যাইহোক, আমি সাথে সাথে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তার আগেই ইঞ্জিনে উঠে যায় মাইক্রোবাসটি। তখন অবশ্য সবকিছু শেষ।
জহিরুল খান বলেন, আমার মনে হয় অনেক ট্রাফিক রুট আছে যেগুলো বৈধ নয়। কারণ স্বাভাবিকভাবেই বাধা থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। আর সেখানে একজন গেইটম্যান আছে কিনা খেয়াল করতে পারিনি। তবে গেটম্যান থাকলে এই ঘটনা ঘটত না। এছাড়া গেটে কোনো সিগন্যালও ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এই দুর্ঘটনার পেছনে অন্যতম ভুল ছিল মাইক্রোবাসের চালকের। তার চারপাশে তাকিয়ে রেললাইন পার হওয়া দরকার। কিন্তু তিনি তা করেননি। যার ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ঘটনার সময় দারোয়ান সাদ্দাম হোসেন সেখানে ছিলেন না। বারও ফেলানো ছিল না। তাই মাইক্রোবাসটি রেললাইনে উঠে যায়।
এদিকে জানা গেছে, এ ঘটনায় গেটম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলার আলোকে ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে বলেও সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।