পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা ভোট কারচুপিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিজের এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচার চেয়েছেন।
কারচুপির দায় স্বীকার করে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে কারচুপির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন লিয়াকত। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার অফিস সিলগালা করে দেয়।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, রেকর্ড জালিয়াতি ঠেকাতে প্রশাসন অফিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
তবে পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কমিশনারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে অজ্ঞাত স্থানে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রিটার্নিং ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং নির্বাচনী সামগ্রী ও তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যে ইসিপিকে দেওয়া হলেও সরকারি নথিও সুরক্ষিত করা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি এবং নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) লিয়াকত আলীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, লিয়াকত আলীকে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
তবে, অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন রাওয়ালপিন্ডি কমিশনার লিয়াকত আলীর ভোট কারচুপির অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটিও করেছে।