দেশে সরকারী অর্থে সরকারী কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমনের অনেক খবর গনমাধম সামাজীক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপকভাবে সমালোচিত হয়েছে যার ফলে এটি নিয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়। চলমান বিশ্বের এই আওবস্থার মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর বন্ধ নিয়ে সোচ্চার সকলেই।
অপ্রয়োজনীয় সরকারি সফর বন্ধে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রোববার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়। এ আবেদন করেন বরিশালের বাসিন্দা এএসএম আল সোনেট। রিটে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে সরকার ১২ মে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল। তারপরও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে যাচ্ছেন। এটা বন্ধ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
একান্ত সচিব জিআইও (সরকারি আদেশে) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে বিদেশে যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী। কোনো মন্ত্রীর সরকারিভাবে নিযুক্ত একান্ত সচিব যখন বিদেশে যান বা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সফরে যান, তখন তাকে অবশ্যই সেই পরিচয় ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তিনি একটি বাণিজ্যিক সংস্থার প্রধান হিসেবে JIO করেছেন। আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলেছি, আদালত আমাদের রিট আমলে নিলে তদন্তের ব্যবস্থা করতে।
বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরও ৩০টি জিআইও হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১১৪ জন কর্মকর্তা বিদেশে যাচ্ছেন। নেদারল্যান্ডসে মেলায় যাবে কৃষি মন্ত্রণালয়। মেলায় গাছে পানি দিতে কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ধরনের সংকটের সময় আনন্দ ভ্রমণ বন্ধ করা দরকার। আগামীকাল (সোমবার) রিট আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকায় উঠতে পারে।
সরকারী কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমনের বিষয় নিয়ে দেশে বিভিন্ন সময় নানা আলোচনা সমালোচনা ওঠে। এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়। গাছে পানি দিতে এবার সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের নেদারন্যন্ডস ভ্রমন নিয়ে ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।