গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন অবৈধ্য ভাবে ভোট দেওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। স্বার্বিক পরিস্থিতি পযেবেক্ষন করে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশিন বলেন জানান (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন ব্য/বস্থা নিয়ন্ত্রের বাহিরে চ/লে গেছে লে মন্তব্য করে যা বললেন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, চলমান গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ভোটকেন্দ্রের গোপন স্থানে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিতে নিজ চোখে দেখেছি।
বুধবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গোপন কক্ষে অবৈধ প্রবেশ ও ভোটগ্রহণ আমরা নিজ চোখে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল পদক্ষেপ হিসেবে আমরা ৪৫টি কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছি। চাকরির নিয়ম বা অন্যান্য নিয়ম অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি প/রে দেখবো। আমরা এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে ফোনে বলেছি, আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখেছি। তাই সাথে সাথে ভোট বন্ধ করে দিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে, কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না, তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। সেই আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এবং যখন আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব, তখন জানাবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেল তা আমরা বলতে পারছি না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আপনারা আরও দেখতে পাচ্ছেন যে এটি গোপন কক্ষে (ভোট ডাকাতি) হচ্ছে, সুশৃঙ্খলভাবে নয়। কেন এমন হচ্ছে বলতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিকভাবে কাজ করছে কি না আমরা বলতে পারছি না। ইভিএমেও আমি কোনো ত্রুটি দেখি না।
অনেককে গেঞ্জি পরতে দেখা যায়, শাড়ি পরে যেখানে প্রতীক আছে সেখানে। মনে হচ্ছে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী।
সাবেক এই আইন সচিব বলেন, এরাই ডা/কাত, এরা দুর্বৃত্ত। যারা আইন মানে না তাদের আমরা ডাকাত ও দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সবাই আইন না মানলে নির্বাচন কমিশন সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন।
নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ড. গত ২৩ জুলাই ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করায় গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। সংবিধান অনুযায়ী ২০ অক্টোবরের মধ্যে শূন্য আসনে উপনির্বাচন বাধ্যতামূলক।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রন না থাকায় ভোট বন্ধ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, কেন এমন হলো বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।