দেশে জ্বালানি তেলের সংকটের জন্য আগামীকাল থেকে সমগ্র দেশে নির্দিষ্ট এলাকায় ভাগ করে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার চিন্তা নিয়েছে সরকার। তাছাড়া একই সাথে দেশের সকল পেট্রলপাম্প গুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টি দেশে জ্বালানির সংকটের বিষয়টি উঠে এসেছে। এবার এ নিয়ে কথা বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেছেন, লোডশেডিং সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। বিদ্যুৎ সংকট ও লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারের লুটপাট দায়ী। বিদ্যুৎ উৎপাদন করুক বা না করুক, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মালিকরা টাকা পাবেন। সামনে সময় আসছে, আর অনুমতি নেবো না। সরাসরি গণভবন ও সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।
সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তলো’য়ার ও রা”ইফেল’ নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল একজন একটা নির্বোধ। কোনো বুদ্ধিশুদ্ধি নেই। সরকারের লোকজন বিদেশে ডলার পাচার করে, তাই এখন ডলারেরও সংকট দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্যাসের সংকটের কারণে যে সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গ্যাস নির্ভর সেসকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র মাঝে মাঝে বন্ধ রাখার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহে বন্ধ থাকছে। একই সাথে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাংলাদেশ এ সকল পণ্যের আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সরকার ব্যয় কমাতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।