বর্তমান সময়ে বিএনপি একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বিএনপি নির্বাচনে নেতৃত্বে থাকবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে আন্দোলনের নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়া থাকবেন, এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা। তবে আন্দোলনের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার থাকার ঘোষনা দিলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সে বিষয়ে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য ৪৭শ’ বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুই/একদিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। সংসদের আগামী অধিবেশনে সাক্ষ্য আইনের সংশোধনী পাস হবে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের সাজা হলে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে পারবেন না।সবক্ষেত্রেই এ নীতির প্রতিফলন আছে। খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন আদালত। বর্তমান আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া যোগ্য হলে নির্বাচন করতে পারবেন এবং নির্বাচনের যোগ্য না হলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে কাজ চলছে। আমি অস্বীকার করছি না যে আগে অপব্যবহার হয়নি। এ নিয়ে মিডিয়ার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এছাড়া দুই-তিন দিনের মধ্যে আমি ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিষয়ের উদ্দেশ্য তুলে ধরব।’
তবে বিএনপির নেতৃত্ব কে দিবেন, সে বিষয়ে বিএনপি নেতারা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নামই বলছেন। তবে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে একমাত্র আন্দোলনের পথ অবলম্বন হিসেবে দেখছে বিএনপি। নির্বাচনে যাবে না এমন ঘোষণা দিলেও তারা ভেতরে ভেতরে দলকে সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।