সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক অনেক কথা শোনা গেলেও, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা কেউই বলে না। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি ( BNP ) মহলে অনেক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইতিহাস সাক্ষী আছে, মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান ছিল তাদের ভিতর তারাও আছেন। এমনই মন্তব্য করলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ( Fakhrul ) ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরো বলেন, আমি সব সময়ই বলার চেষ্টা করেছি, দেশে যদি কোনো নারী মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন তাহলে তিনি বেগম খালেদা জিয়া। মিথ্যা মামলায় তাকে (খালেদা জিয়া) আজ কারাগারে ব/ন্দি করা হয়েছে। ৪০ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা একজনকে আজ এই সরকার আটক করে রেখেছে। তারা তাকে অসুস্থতার চিকিৎসার ও সুযোগ দিচ্ছে না।
শুক্রবার সকালে ( morning ) রাজধানীর গুলশানে ( Gulshan ) বিএনপি ( BNP ) চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ( Fakhrul ) এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ওই নেত্রী তখন একজন গৃহিণী ছিলেন। জিয়াউর রহমানের ( Ziaur Rahman ) প্রথম বিদ্রো’/হের পর, সোয়াতের পথে যখন আমাদের অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাকিস্তানি কমান্ডার সোহরাব হোসেন ( Sohrab Hossain ), সৈ’/ন্যদের নির’/স্ত্র করার চেষ্টা করছিলেন, তখন বেগম খালেদা জিয়াই সৈন্যদের প্রথম বলেছিলেন, তোমরা আত্মসমর্পণ করবে না, যতক্ষণ না জিয়াউর রহমান ফিরে না আসছেন। এর মাধ্যমে (যু’/দ্ধ) শুরু হয়।
বিএনপি ( BNP ) মহাসচিব বলেন, আমাদের দলের নেতা তারেক রহমান সাহেব ( Mr. Tareq Rahman ) ও তার ছোট ভাইসহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ( Begum Khaleda Zia ) সঙ্গে ব/ন্দি ছিলেন ওই সময়। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে সেই ছোট্ট মানুষটির অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। এই নেতাকে আজ দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, তারা (সরকার) কিছু কর্মসূচিতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে সামনে এনেছে। প্রবাসী সরকার, এম এ জি ওসমানী সাহেবের ( Mr. M. G. Osmani ) নাম বহুবার বলা হয়েছে, সেক্টর কমান্ডারদের নাম বহুবার বলা হয়েছে, তাজউদ্দীন সাহেবের (তাজউদ্দীন আহমদ ( Tajuddin Ahmed )) নাম বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে- আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কোথায় গেল স্বাধীনতা যু/’দ্ধ? এখানে একজনের ব্যাপারটা সামনে আসছে।
প্রসঙ্গত, মির্জা ফখরুল ( Fakhrul ) ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমানের ( Ziaur Rahman ) বিদ্রোহের পর ও তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ১৯৭১ সালে, পাকিস্তানি সে/নাবাহিনীর কাছে জিম্মি ছিলেন। মহান আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে, তারা হয়তো তখন বেঁচে ছিলেন। এই ঘটনা অনেকে জানার পরেও এখনো পর্যন্ত নিশ্চুপ রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গেলেই জিয়া পরিবারের কথা অবশ্যই আসবে, সেটা অস্বীকার করার মতো কোনো কারণ নাই।