আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২ অক্টোবর) বেগম জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে, বেগম জিয়াকে এই সরকার হ/ত্যা করতে চায়, চিকিৎসার কোনো সুযোগ না দিয়ে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’
প্রধানমন্ত্রী কানের চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করাতে পারলেও বেগম জিয়ার বিষয়ে ভিন্নতা কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বেগম জিয়াকে সরকার রাজনীতি করতে দিতে চায় না। এ জন্যই বিদেশে চিকিৎসা করাতে দিচ্ছে না। কারণ ক্ষমতাসীনরা জানে বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে তাদের কোনো শক্তি থাকবে না।
দেশের বাজার ব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক অবস্থার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। বর্তমান সরকার ব্যাংক লুটকারীদের সরকার। বর্তমান সরকার বর্গির সরকার, জনগণের সবকিছু লুট করে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় টাকা পাচার করেছে।
বাজার সিন্ডিকেটের কাছে সব জিম্মি অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সব চলে যাচ্ছে বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। কৃষকদের পক্ষে এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে গেছে। মেগা প্রজেক্ট বানালেও কৃষকদের ভর্তুকি না দিয়ে তাদের বেঁচে থাকা কষ্টকর করে তুলছে সরকার।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুস্থ ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা সবখানে লু/ট। কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ীরা অর্থ পায়না, যারা সরকারের লোক তারাই সব পাচ্ছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার দেশকে জাহান্নাম বানিয়েছে। জাহান্নামের আ/গুনে পুড়ছে দেশ।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে ক্ষমতাসীনদের নেতিবাচক মন্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিচ্ছে। যাদের ওখানে পোশাক রফতানি হয় তাদের সঙ্গে ঝামেলা বাড়াচ্ছে সরকার।
এ অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় জনগণ সরকারকে বিতাড়িত করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।