দেশে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে লোডশেডিংয়ের ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। যার কারনে দেশের সাধারন জনগনের দূর্ভোগসহ শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারনে সরকার লোডশেডিংয়ের সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের এই অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের মাঝেও এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। এবার বিদ্যুত নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষোভ ঝাড়লেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার।
জেনারেল ম্যানেজার ইসহাক আলীর বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুতের তথ্য জানতে চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খাটো করে তার কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি তথ্য চাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের অবরুদ্ধও করেন তিনি।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের আওতায় জেলার ছয় উপজেলায় লোডশেডিং হচ্ছে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদক মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে পল্লী বিদ্যুতের মহাব্যবস্থাপক ইসহাক আলীর কার্যালয়ে গিয়ে বিদ্যুতের সরবরাহ কম নাকি কারিগরি ত্রুটির কারণে তা জানার জন্য যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো তথ্য দেব না। প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং দিচ্ছে, আপনি তার কাছে যান।’ এ সময় তিনি ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করে বিভিন্ন কথা বলেন। সেখান থেকে সাংবাদিকরা চলে যান।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে অফিসে ঢোকার পরই আরও কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষি”প্ত হয়ে ওঠেন। তিনি তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি অফিসের সরকারি ফাইল ছুড়ে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে শোরগোল শুরু করেন।
সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে অফিসের অন্যরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সাংবাদিকরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, ‘আজ (বুধবার) তিনি যে আচরণ করেছেন তা কোনো সরকারি কর্মকর্তার আচরণ হতে পারে না। আমরা অফিসে বসে আছি এবং তিনি শোরগোল করে দরজা লাগিয়ে অফিসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। যেন আমরা ডা”কাতি করতে এসেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
পরবর্তীতে এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে যেতে পারে এমন চিন্তা করে জেনারেল ম্যানেজার ইসহাক আলী দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন এই ধরনের ব্যবহার একজন জেনারেল ম্যানেজারের নিকট থেকে কোন ভাবে কাম্য নয়। সাংবাদিকরা শুধুমাত্র লোডশেডিং এর বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন, এটাতে তারা তো বড় ধরনের কোনো অপরাধ করেনি।