সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় সংলাপের সূচনা বক্তব্যে দলটির নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ প্রস্তাব দেন।
বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা তিনটি প্রস্তাব আপনাদের বিবেচনায় পেশ করছি।
১. বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত একতরফা তফশিল বাতিল করে গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
২. বর্তমান বিতর্কিত পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় সরকারের গুরুত্ব, বাস্তবতা ও রূপরেখা জাতীয়ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
৩. কার্যকরী সংসদ, রাজনৈতিক সংহতি এবং শতভাগ জনমতের প্রতিফলনের জন্য পিআর (PR) বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির অধিকতর উত্তম পদ্ধতি, যা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে তা প্রবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানাব, আসুন আমরা জাতীয় ঐক্য গড়ি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে সকল দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, ব্যাংক ডাকাত ও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াই করি।
দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা গেলে, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে প্রতিহত করা গেলে, চালের দাম সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। একই ধারাবাহিকতায় ডাল, তেল ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী মূল্য ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা যায়। উৎপাদনমুখী শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা যায়। সকল পরিবহণের যাত্রীভাড়া ৩০ শতাংশ কমানো যায়। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলও ৩০ শতাংশ কমানো যায়।
রেজাউল করিম বলেন, আসুন আমরা বিদ্যমান জাতীয় সংকট নিরসনে ভেদাভেদ ভুলে স্বৈরাচারী রাজনৈতিক ব্যবস্থার পতন ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হই এবং জনগণের ভোটাধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, নাগরিক অধিকার ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করি এবং একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গড়ি। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও সন্ত্রাস। আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা বহুমুখী জাতীয় সংকট সমাধানের পথ খুঁজে পাব, ইনশাআল্লাহ।