একটি দেশের প্রধান এবং সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে হাইকোর্ট। এটি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের দুটি শাখার একটি, অপরটি আপিল বিভাগ। এটি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের নিয়ে গঠিত। এর প্রধান এখতিয়ার হল রিট এখতিয়ার, যার অনুসরণে এটি বাংলাদেশের সংবিধানের 102 অনুচ্ছেদের অধীনে সার্টিওরারি, ম্যান্ডামাস, কোও ওয়ারেন্টো, নিষেধাজ্ঞা এবং হেবিয়াস কর্পাস জারি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতা থাকলেই ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। অযথা ক্ষমতা দেখাবেন না।’
আদালত বলেন, ‘একজন মানুষকে ২০১৯ সালে নোটিশ দিলেন, কিন্তু এখনও নিষ্পত্তি করলেন না। আবার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিলেন। তার বিদেশ যাত্রায় কেয়ামত পর্যন্ত কি নিষেধাজ্ঞা থাকবে?’
আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
এরপর আদালত আফতাব অটো মোবাইল লিমিটেডের কো-অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. মামুন খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট সাঈদা ইয়াসমিন।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আফতাব অটো মোবাইল লিমিটেডের কো-অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. মামুন খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক নোটিশ দেয়। তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে হয়। সে অনুযায়ী মামুন খান দুদক কার্যালয়ে হাজির হন।
এরপর ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মামুন খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি পাঠায় দুদক। দুদকের চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত আগস্ট মাসে হাইকোর্টে রিট করেন মামুন খান।
ক্ষমতার অপব্যাবহার করে এবার চাপে পড়ে গেল দুদক নিজেই। হাইকোর্টের দেওয়া নতুন রূলসের জবাব হয়তো তাদের কাছে থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে এখন অপেক্ষার পালা এই রুলস এর উত্তরে দুদক কী বলে। হতে পারে এইবার মামুন খান চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেতে পারে। তবে দুদক কেন মামুন খানের বিদেশ যাওয়ায় অনুমতি দিচ্ছেনা সে ব্যাপারে স্পষ্ঠ কিছু জানা যায়নি। সেইসাথে এটাও জানা যায়নি কেনইবা দুদক ক্ষমতার এমন অপব্যাবহার করছে।