পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের (সাইফার) মামলায় সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে।
দু/র্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে ইমরান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আদিয়ালা কারাগার প্রাঙ্গণে আদালতে বসে তার বিরুদ্ধে সাইফার মামলার বিচার চলছে।
সোমবার কারাগারে মামলার শুনানি চলাকালীন ইমরান খান সাংবাদিকদের এক অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় বলেন, “জেনারেল বাজওয়া এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারাও সাক্ষী থাকবেন (এ ক্ষেত্রে)। জেনারেল বাজওয়াই সবকিছু করেছেন ডোনাল্ড লুর (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশনায়।
গত বছরের এপ্রিলে দেশটির সংসদে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান ইমরান খান। এরপর তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খান তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিদেশি ষ/ড়যন্ত্রের কথা বলছেন। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে তাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খান কারাগারে থাকায় পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া চলছে। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটের দিন ধার্য করা হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইমরান খান বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হবে।
এ সময় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের একটি আদালত দুর্নীতি মামলায় গত আগস্টে ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়।
ইমরান দাবি করেন, বর্তমান পিএমএল-এন সরকার ও সেনাবাহিনীর ষ/ড়যন্ত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে, যাতে তিনি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন।