বিরক্ত করবেন না আমি আপনার ফরমাশের চাকর নই। এত সহজ ভাবে বুঝানোর পরও যদি বিরক্ত হন তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই।। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন।
‘আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
তবে এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েও ক্ষান্ত হননি তিনি। অনেকেই কমেন্টে রিপ্লাই দিয়েছেন। একই পোস্টের কমেন্টে কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সুশান্ত লেখেন, ‘‘তোমাদের তো কোটা নিয়ে এত দুঃখ থাকার কথা নয়। তোমরা তো এমনিতেই চাকরি পাবে না— কোটা থাক না থাক; আরে ভাই, প্রিলিমিনারিই তো পাস করতে পারবে না! লজ্জাশরম ও পড়াশোনা থাকলে নিশ্চয়ই এখানে পড়ে থাকতে না।’
এর আগে ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অশালীন মন্তব্য ও কটূক্তি করার অভিযোগে ২০১৬ সালে এই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে সুশান্ত পাল নামে ওই কর্মকর্তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে তার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আদিম বর্বরতা চলে, এসব বিষয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদাসীন- ফেসবুকে একটি পোস্ট লিখেছেন সুশান্ত পাল। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালে সুশান্ত পাল তার ফেসবুকে ক্ষমাও চেয়েছেন।