ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এসবের ধারাবাহিকতায় সংগঠকে আরও শক্তিশালী করতে দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। আবারও দেশের জনগনের সমার্থন নিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করতে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যেমত হয়ে কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা আছে তবে ভুল সিদ্ধান্ত হলে কেউ ফিরতে পারবেন না মন্তব্য করে যা বললেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু।
সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেছেন, ব/ন্দুকের নল ক্ষমতার উৎস নয়। জনগণের শক্তি হচ্ছে ক্ষমতার মূল উৎস। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার মূল শক্তি হচ্ছে এই জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। আস্থা আছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটিকে সুন্দর সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারায় ফিরিয়ে আনবো এবং সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে বুধবার (৭ সেপ্টম্বর) দুপুরে রায়পুরা উপজেলা রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটোরিয়াম মাঠে রায়পুরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিয়ে ষ/ড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন বলে জানান। ষ/ড়যন্ত্রের জাল বিচ্ছিন্ন করে দিবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাক। আমরা কাউকে ভয় পাই না। আপনারা যদি মনে করে থাকেন স্টেডিয়াম দখল করবেন। তাহলে আমরা সাত দিন আগে দখল করে রাখবো। আমরা রায়পুরার লোক। আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমরা যখন যাব, তখন জয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাল্লাহ।
এমপি রাজু আরও বলেন, টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রি হচ্ছে, আমরা রায়পুরার মানুষ কাউকে ভয় পাই না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর আমার আস্থা আছে, তবুও সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা আসবেন-বসবেন-আপনাদের খাতির যত্ন করা হবে। তারপরেও যদি ভুল সিদ্ধান্ত দেন, তাহলে কেউ ফিরে যেতে পারবেন না। এ সময় তিনি আরও বলেন, রায়পুরার প্রত্যন্ত তৃণভূমিতে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি যেসব এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তা ছিল না সেসব এলাকায় আমি সড়ক ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। এখন সাধারণ মানুষ গাড়ি নিয়ে সেখানে চলাচল করতে পারে।
উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের ফলে জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। তাই জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। দলীয় পদ ভাগাতে অর্থ-বিত্ত আর উপটৌকন দেয়ার প্রতিযোগিতার পাশাপাশি চালাচ্ছে লবিং তদবির।
এদিকে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজুর বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত, দলীয় পদের নিয়ে যে বাণিজ্য চলছে সেটি দলের মধ্যে আরও বিভাজন সৃষ্টি হবে যা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তিনি বলেন, এমন ধরনের বিষয়ে সতর্ক
থাকতে হবে।