ভিজিট ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য নতুন নীতি ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ সরকার। নীতিমালায় বলা হয়েছে, যারা ভিজিট বা ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাবেন তারা ভ্রমণের পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাবেন। ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, নীতিটি ঘোষণা করা হয়। ল’ল্যান্ড সলিসিটর্সের প্রিন্সিপাল নাজিম মনসুর জানিয়েছেন, ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বেশ কিছু নতুন ইমিগ্রেশন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বৃটিশ সরকার। এর মধ্যে বেশির ভাগই অভিবাসীদের জন্য সুখকর নয়।
যারা শুধু ভিজিট ভিসায় যাবেন তাদের জন্য খুশির বার্তা দিয়েছে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল সরকার। আগে বৃটেনে যারা ভ্রমণ করতে এসেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এখানে কাজ করার অনুমতি ছিল না। আগে শর্ত ছিলো- যারা ভ্রমণ করতে যাবেন তারা শুধুই ভ্রমণ করতে পারবেন এবং ভিসার মেয়াদ শেষে নিজ দেশে ফেরত যাবেন। যদি কেউ গোপনে কাজ করে এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে তবে এটি একটি অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। তবে নতুন নীতি কার্যকর হওয়ার পর তা হবে না।
তবে, হোম অফিস বলেছে যে নীতিটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে, যারা ভিজিট ভিসায় যুক্তরাজ্যে আসছেন তাদের কাজ করা উচিত নয় বা তাদের সফরের অতিরিক্ত সময় কাটানো উচিত নয়।
আইনজীবী মনসুর বলেন, সব ক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই কাজ করে।
নতুন এই আইনের কারণে প্রতিটি দেশ থেকে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে ভিজিট ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা এক ধাপ বাড়বে, যা অতীতের তুলনায় বেশি হবে। চাকরিতে বর্তমান কর্মীদের মূল্যায়ন হ্রাস পাবে। শ্রমের মান সস্তা হবে। কারণ যখন ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে এবং তারা কাজ করবে, তখন কিছু অসাধু নিয়োগকর্তা তাদের বেতনের ক্ষেত্রে সুবিধা নেবে, অর্থাৎ তারা কম টাকায় কাজ করতে চাইবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে যে কোনো সময় আইন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণ গতিতে আসা ভিজিটরদের জন্য এটি সুখবর।