বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে শাম্মী আহমেদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করে এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ তারিখ ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হলো। সে সময় আদালত বলেছিল, শাম্মির প্রার্থিতা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হলো।
আজ আদালতে শাম্মী আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, মোতাহার হোসেন সাজুসহ এক ডজন সিনিয়র আইনজীবী।
আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, অস্ট্রেলিয়া ২২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব ত্যাগের জন্য শাম্মী আহমেদের আবেদন গ্রহণ করেছে। সব দিক বিবেচনা করে শাম্মী আহমেদকে অন্তত আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকার সুযোগ দিন।
এরপর চেম্বার বিচারপতি বলেন, আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আপনি বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। এসব বিষয়ে আমি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আগামী ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের সব বিচারপতি একসঙ্গে শুনানি করবেন।
এর আগে সকালে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ আবারও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ইকবাল কবির ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন শাম্মী আহমেদ।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে ১৫ ডিসেম্বর বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল রয়েছে।