গত সেপ্টেম্বরে আইসিসির দু/র্নীতির অভিযোগে নাসির হোসেনকে দেশের ক্রিকেট থেকে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইসিসি থেকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান নাসির।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (আইসিসি)। আবুধাবির টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে আইসিসির সন্দেহের মুখে পড়েন নাসির।
সেখানে তিনি ৭৫০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ হাজার ৫০০) মূল্যের একটি উপহার পান। তবে কে তাকে এই উপহার দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন, সে সদুত্তর দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য তিনি কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কিনা তাও স্পষ্ট করতে পারেননি।
এ ছাড়া বিষয়টি দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানো, তাদের না জানানো বা তাদের কাছ থেকে গোপন করার অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি আইসিসির নিয়মের ২.৪.৩, ২.৪.৪ এবং ২.৪.৬ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। ফলে এই শাস্তি পেলেন নাসির।
আইসিসি কোডের ধারা ২.৪.৩ অনুসারে, তিনি মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে উপহারের রসিদ (অযথা বিলম্ব ছাড়া) প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন। যার মূল্য ছিল ৭৫০ ডলারের বেশি। পুরস্কারটি ছিল একটি আইফোন ১২।
কোডের ধারা ২.৪.৪ অনুসারে, আইসিসি-এর দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা এই অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন যে তিনি উপহার হিসেবে আইফোন ১২-এর মাধ্যমে দু/র্নীতিবাজ আচরণে জড়িত হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
কোডের ধারা ২.৪.৪ অনুযায়ী, তিনি বাধ্যতামূলক কারণ ছাড়াই কোডের অধীনে সম্ভাব্য দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দু/র্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করেননি।
এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার ৭ এপ্রিল, ২০২৫-এ ক্রিকেটে ফিরতে পারেন যদি তিনি আইসিসির দেওয়া শাস্তি মেনে নেন এবং সমস্ত শর্ত মেনে কাজ করেন।