Monday , December 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার কপাল পুড়ছে আরও এক শিক্ষকের

এবার কপাল পুড়ছে আরও এক শিক্ষকের

‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্পের আলোচনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। একই ইস্যুতে এবার চাকরি হারাচ্ছেন আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) একজন শিক্ষক। তাকে সরাসরি বহিষ্কার করা না হলেও সব কোর্স থেকে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব বইয়ের পাতা ছিঁড়ে একই ঘটনায় ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছেন ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন। এরপর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্স থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

বিষয়টি স্বীকার করে ওই শিক্ষক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এখনো আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করেনি বা আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়নি। কিন্তু তারা আমাকে সব ক্লাস থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।

ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) প্রক্টর অধ্যাপক খসরু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেনকে ক্লাস থেকে প্রত্যাহারের কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি এলে আমরা নিশ্চিত হতে পারব। তবে ডিন অফিস বলতে পারবে। ক্লাস থেকে প্রত্যাহার সম্পর্কে।

ওই অনুষ্ঠানে যা বলেছিলেন অধ্যাপক সারোয়ার

গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম।

সেই সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যদি আপনাদের ট্রান্সজেন্ডারের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতাম, তাহলে আপনারা রাতে ঘুমাতে পারবেন না। ট্রান্সজেন্ডার সমস্যা একটি গুরুতর সমস্যা। আমি এই বিষয়ে ৬ বছর পিএইচডি করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমার সন্দেহ হয়েছিল তাই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু বুঝতে হলে জনস্বাস্থ্য বুঝতে হবে। তাহলে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুটা বুঝতে পারবেন। সমকামিতা কোনো আলোচনার বিষয় না। এর কারণে কওমে লূত ধ্বংস হয়েছে। সব ধর্মে নিষিদ্ধ এ সমকামিতা। গতকাল শুনলাম আমার প্রতিষ্ঠানে আমার জন্য পলিসি তৈরি করেছে। যেন চাকরি খেয়ে দিতে পারে। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে যে কথা বলবে তার চাকরি খেয়ে দিতে পারবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। সপ্তম শ্রেণির বইতে শরীফ থেকে শরীফার গল্প আছে। ‘মনে মনে নারী এবং মনে মনে পুরুষ’ এটা ভয়ংকর জিনিস।’

তিনি বলেন, ‘আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে, আপনারা কি জানেন? আমার পিছনে অনেক লোক ঘুরতেছে। আমি বাইরে যেতে পারি না। আমাকে টার্গেট করে ওরা কমপ্লেইন করেছে, চাপে ফেলেছে। আমি বললাম এটা কীভাবে সম্ভব। আমরা জাতি গঠন করি। আমরা চাই সাসটেইনেবল সোসাইটি হোক, আমরা কি চাই অসুস্থ সোসাইটি হোক?’

About Rasel Khalifa

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *