আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত নেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় বেশ কয়েকটি দলই তার বিরোধীতা করে। তবে আলোচনার পর যাচাই বাছাই করে ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএম নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়া হয়েছে এ প্রসঙ্গে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ যা বললেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি এর আগে বলেছিল, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি ও সমর্থন দুটোই আছে।
সোমবার ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, আইন, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ পাঠায় ইসি।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ইভিএম নিয়ে প্রাপ্ত মতামত ও পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি এ কথা বলে।
ইসি প্রতিবেদনে ইভিএম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া মতামত ও পরামর্শের জবাবে ইসি জানিয়েছে, যেহেতু সদ্য সমাপ্ত রাজনৈতিক সংলাপ ছাড়াও ইতোপূর্বে ইভিএম নিয়ে আরও সংলাপ, কর্মশালা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে এবং কমিশন যেহেতু ইভিএমের সার্বিক বিষয়ে এখনো স্থির কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি, সেহেতু সদ্য সমাপ্ত রাজনৈতিক সংলাপ ছাড়াও ইতোপূর্বে ইভিএম নিয়ে আরও যেসব কর্মশালা, মতবিনিময়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার সার্বিক ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিচার-বিশ্লেষণ করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বিষয়ে কমিশন যথাসময়ে অবহিত করবে।
বর্তমানে ইসির হাতে থাকা যেসব ইভিএম আছে তাতে ৭০-৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্ভব। ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫০টিতে ইভিএমে ভোট পরিচালনা করা নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন। তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখেছে, যদি নতুন মেশিন কেনা না হয়, তাহলে ১০০ আসনে ভোট করাই সমস্যা সংকুল হয়ে যায়।
সংলাপে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল মেশিন ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে। সংলাপে অংশ না নেওয়া বিএনপিসহ ৯টি দল এই মেশিনে ভোট দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছে। তবে আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দল ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, যদিও বেশ কয়েটি দলটি ইভিএমের বিরোধীতা করেছে কিন্তু বিভিন্ন বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন বলে জানানো হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। এ সংকান্ত বিষয়ে নিদিষ্ট দপ্তরে সারসংক্ষেপ পাঠানোও তথ্য জানানো হয়েছে।