ড. বেনজীর আহমেদ হলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক। এই বিশাল উচ্চমর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর পূর্বেও তিনি বাংলাদেশ র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন পুলিশের কর্তব্য জনগনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, একটি স্বাধীন দেশের পুলিশ হিসেবে প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সেবা করা, জনগণকে ভালোবাসা, প্রয়োজনের সময় মানুষকে সাহায্য করা এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। এটা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে। দেশে আইনের শাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ও আস্থার জায়গা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। বিপদে পড়লে মানুষ প্রথমে পুলিশের কাছে ছুটে যায়। তাই পুলিশকে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৪তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ২০২১ ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী টিআরসির সমাপনী কুচকাওয়াজে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ প্রধান বলেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে এবং মামলার তদন্তে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সাইবার সেন্টার ও ডিএনও ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ এখন আরও দক্ষ হয়েছে। জ/ঙ্গিবাদ ও স/ন্ত্রাস নির্মূলে পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দেশের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ‘
এর আগে, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এতে ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৫৩ জন শিক্ষানবীশ কনস্টেবল অংশ নেন। পরে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্টত্ব অর্জনকারী কনস্টেবলদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, পুলিশ উইমেন ওয়েলফেয়ার (পুনাক) সভাপতি বেগম জিশান মির্জাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জনগনই হলো দেশের সকল ধরণের শক্তির উৎস আর তাই জনগনকে বাদ দিয়ে কোনো কিছুই করা সম্ভব না। তাই জনগনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বললেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।