সুপরিকল্পিত ভাবে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে প্রকাশে ”হ”ত্যা”র” অভিযোগে শ্বশুরের করা এক মামলায় এই মুহূর্তে কারাগারের চার দেয়ালের মাঝে দিন কাটছে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। তবে এরইমধ্যে এবার ঘটলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হঠাৎই কিছু না জানিয়েই বাবুলের কারাগারের রুমে প্রবেশ করে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ উঠেছে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলানা মুরাদ অভিযোগ করেন, তার কক্ষে কিছুই পাওয়া যায়নি।
তাকে মানসিক চাপে রাখতেই এমন কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
একজন অভ্যন্তরে পুলিশ অফিসার কিভাবে কারাগারে ঢুকে একজন বন্দীর সেল তল্লাশি করে তা অবাক করার মতো।
তবে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন কারাগারে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বাবুল আক্তারের কক্ষে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ডাকাতি মামলার আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে তিনি কারাগারে গিয়েছিলেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ মুঠোফোনে জানান, ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করে কারাগারের ভেতরে বাবুল আক্তারের কক্ষ তল্লাশি করেন।
কারাগারের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা পরীক্ষা করলে ওসির কারাগারে প্রবেশের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে তিনি দাবি করেন।
তবে ফেনী জেলা সুপার মো. আনোয়ারুল করীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। করাগারে পুলিশ ছাড়া অন্য কারো প্রবেশ করার অনুমতি নেই। সুতরাং এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।