এবার ঐক্যের আন্দোলনের সফলতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন বিএনপিতে, জানা গেল কারন

আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। তার মধ্যে কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের ঘর ঘোছানোসহ নির্বাচন কেন্দ্রীক কর্ম পরিকল্প করছে। এদিকে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে বাধ্য করাতে বৃহ্ত্তর ঐক্যের লক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আওয়ামীলী সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন করা হবে দলটির নেতারা বলছে। সরকার বিরোধী ঐক্যের আন্দোলনের বিএনপির সফলতা প্রসঙ্গে যা জানাগেল।

সরকারবিরোধী ঐক্য আন্দোলন কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপিতে। দদলটির কোনো কোনো নেতা মনে করেন, নেতানির্ভর দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্যই করা। আবার কেউ কেউ বলছেন, দল ছোট হলেও রাজনীতিতে সক্রিয় তারা। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জনসম্পৃক্ততাহীন দলের সঙ্গে ঐক্য করে কোনো লাভ নেই। তাদের ভাবনায়, বিরোধী দলগুলোর স/হিংস আন্দোলন মোকাবিলা।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার আগে দল পুনর্গঠন করছে বিএনপি। তবে এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। দ্বন্দ্ব-গ্রুপিংয়ে দুর্বল মহানগর কমিটি। তৃণমূলেও হ-য-ব-র-ল। বাড়ছে কোন্দলও।

অন্যদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঐক্য গড়তে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির সংলাপ চলছে। ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া এই সংলাপে দুই মাসে এ পর্যন্ত ১৪ দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে দলটি। এই সংলাপের সফলতা নিয়েও দলে নানা সমীকরণ চলছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনীতিবিদরা জনগণকে নিয়ে খেলছে, জনগণও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে খেলছে। এটা একটা অদ্ভুত খেলা। এখানে দেখানো হচ্ছে, আমাদের শক্তি আছে, আমরা দশটা দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। একটু আত্মতৃপ্তির জন্য বা সাধারণ মানুষকে আরেকটু বোঝাতে জোটের রাজনীতিতে সবার সঙ্গেই আলোচনা চলছে। এসব দলের সব নেতারই ঐতিহ্যগত ভূমিকা রয়েছে। যদিও তারা এখন বাতিলের খাতায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অনেকেই আছেন যারা মাঠে সক্রিয়। তারা প্রতিটি বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে অন্য দলগুলোর কী হবে?

সরকারবিরোধী ঐক্য প্রক্রিয়াকে আমলে নিচ্ছেন না আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের ভাবনা, বিরোধীদলের সহিংসতা প্রতিরোধ নিয়ে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যে দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের কথা বলছেন তাদের কোনো জনভিত্তি নেই। জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরোই হয়। কিছু নেতার ঐক্য নিয়ে আন্দোলন সফল হয় না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, তারা (বিএনপি) কখনো মানুষ পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলে জনগণের সঙ্গে তা করতে দেওয়া হবে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপের পর খুব শিগগিরই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আকারে দ্বিতীয় দফা বৈঠক করার কথা রয়েছে বিএনপি।

প্রসঙ্গত, সরকার বিরোধী আন্দোলনের লক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো সাথে বৈঠক আদৌ কাজ আসবে কি না প্রশ্ন বিএনপির অনেক নেতার। তবে বিষয়টি নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতার ভিন্ন চিন্তা করছেন।