Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার এসপির বিরুদ্ধে খারাপ কাজের অভিযোগ আনলেন পুলিশ পরিদর্শক

এবার এসপির বিরুদ্ধে খারাপ কাজের অভিযোগ আনলেন পুলিশ পরিদর্শক

নারী সহকর্মীকে (ভিকটিম পুলিশ ইন্সপেক্টর) খারাপ কাজের মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের( Police Bureau of Investigation ) (পিবিআ্ই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের( Moktar Hossain ) বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছে। নারী ও শি’শু সংশ্লিষ্ট আইনে, ২০০০ এর ৯ (১) ধারার অধীনে অভিযোগপএ দাখিল করা হয়। ঐ অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে মোক্তার হোসেন (এসপি) একজন মহিলা সহকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে খারাপ কাজ করেন এবং সে কাজটি করতে তাকে বাধ্য করানো হয় এবং এই অভিয়োগটি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরেুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তিনি পলাতক রয়েছেন।

গত( Past ) বছরের ১২ আগস্ট( August ) ঢাকার ৭ম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের( Tribunal for the Suppression of Child Abuse ) বিচারক মো.( Md. ) এসপি মোক্তার হোসেনের( Moktar Hossain ) বিরুদ্ধে কামরুন্নাহার( Kamrunnahar ) আদালতে মামলাটি করা হয. তার সহকর্মী ওই পরিদর্শক। আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে মামলা (এফআইআর( FIR )) হিসেবে আবেদনটি গ্রহণ করতে উত্তরা( Uttara ) পূর্ব থানাকে নির্দেশ দেন। মামলা দায়ের করার সময় মোক্তার বাগেরহাট জেলার দায়িত্বে ছিলেন। মামলা হওয়ার পর তিনি ব্যক্তিগত( Past ) কারণ দেখিয়ে ছুটিতে চলে যান। তবে তিনি কত দিনের ছুটিতে যাবেন তা সে সময় জানা যায়নি।

মামলাটি তদন্ত করে গত( Past ) ৩০ জানুয়ারি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন( Jasim Uddin ) মোক্তারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২০ জনকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন( Jasim Uddin ) জাগো নিউজকে বলেন, এসপি মোক্তার হোসেনের( Moktar Hossain ) বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীকে খারাপ কাজ করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু সংশ্লিষ্ট দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। মোক্তার হোসেন পলাতক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেছি।

অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার বাদী বাংলাদেশ পুলিশ( Bangladesh Police ) বাহি’নীতে কর্মরত পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। তিনি ২০১৮ সালে জাতিসংঘ( United Nations ) শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে( In Sudan ) গিয়েছিলেন। মামলার আসামি মোক্তার হোসেন ২০১৯ সালের মে( May of the year ) মাসে জাতিসংঘ( United Nations ) শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে( In Sudan ) গিয়েছিলেন। তারা ছাড়াও ওই মিশনে অন্যান্য কর্মকর্তারাও কর্মরত ছিলেন। মিশনে থাকা বাংলাদেশি পুলিশ সুপারদের মধ্যে শুধুমাত্র বাদী এবং আসামিরা ভিআইপি আবাসন ক্যাম্পে থাকতেন। বাদী মিশন শেষে ৩০ জুন( June ), ২০২০ এ দেশে ফিরে আসেন। অভিযুক্ত মিশন শেষ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি( February ) ২০২১ এ দেশে ফিরে আসেন।

বাদী অভিযোগ করেছেন, (মিশনে থাকাকালীন) যে ২০ ডিসেম্বর( December ), ২০১৯, অভিযুক্ত তার আবাসিকে অনৈতিক কাজ করে। এর দুই দিন পর ২২ ডিসেম্বর( December ) আবারও তার সাথে অনৈতিক কাজ করে। মোক্তারকে ফুসলিয়ে, ভুল বুঝিয়ে ও গালমন্দ করে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি মৌখিকভাবে বিয়ে করে। এছাড়া বাংলাদেশে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে আবারও তার সাথে অনৈতিক কাজ করে। মোক্তার একইভাবে তাকে ২৬ জুন( June ) থেকে ৩০ জুন( June ), ২০২০ পর্যন্ত সুদানে( In Sudan )র খার্তুমের হোটেল শ্যামলোতে তার সাথে অনৈতিক কাজ করে।

অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, বাদীর অভিযোগে উল্লেখিত স্থান দেশের বাইরে হওয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। মিশনে সংগঠিত অনৈতিক কাজের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে একই সঙ্গে কর্মরত দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা সাক্ষ্য দেন, ঘটনাটি কেউ অবগত( Past ) নয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী বলেন, তিনি অনৈতিক কাজ করার বিষয়টি কাউকে জানাননি এবং মিশন কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অভিযোগও করেননি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আসামি মোক্তারের পরিবার ঢাকায়( In Dhaka ) সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন। এ ক্ষেত্রে বাদীর সঙ্গে আসামির হোটেলের অবস্থান তার (অনৈতিক কাজ ) অভিযোগকে সমর্থন করে। অভিযুক্ত ও বাদী উভয়েই বিবাহিত। আসামীর প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে, বাদী তার স্বামীকে ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ তারিখে তালাক দেয়। তারপর তিনি তার স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ১২ এপ্রিল( April ), ২০২১ তারিখে অভিযুক্ত মোক্তারের বাড়িতে যান। মামলার তদন্তে জানা যায়, আসামি মোক্তার হোসেন বাদীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক করে, যা আইনের চোখে অপরাধের সামিল। সব আলামত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আসামি মোক্তারকে অনৈতিক কাজের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই মোক্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।যা মামলার জবানবন্দিতে ছিল।

এর আগে মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালে বাদী ও আসামি উভয়েই সুদানে( In Sudan ) কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০ ডিসেম্বর( December ) ২০১৯ দুপুরে( At noon ) আসামি বাদীর বাড়িতে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চায়। বাদী ইউনিফর্মের পকেট থেকে চাবি আনতে গেলে আসামিরা তাকে পেছন থেকে চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য বিভিন্নভাবে হুম’কি-ধমকি দেয়। এর দুই দিন পর ২২ ডিসেম্বর( December ) আসামি আবার বাদীর বাড়িতে গিয়ে বলেন যে, তিনি আগের ঘটনাটি ভুল বুঝেছেন। কিন্তু সেদিনও সে বাদীর সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য আসামিরা বাদীকে হুম’কি দেয়। বাদী অনৈতিক কাজের ঘটনা কাউকে জানালে তাকেও ক্ষতির হু’মকি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত( Past ), পুলিশ বাহি”নীতে মধ্যে এ ধরনে নিন্দনীয় অপরাধ জনসাধারন কাম্য নয়। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে অপরা’ধীর দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি দেওয়া উচিত সকল শ্রেনীর মানুষের এমনই মতামত। সমাজে এ ধরনের অপরাধ প্রতিনিয়ত বাড়ার কারনে সাধারন মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো মধ্য দিয়ে এ রকম অপরা’ধ বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে সাধারন মানুষকে।

 

 

About bisso Jit

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *