দেশে সরকারি খাতগুলোতে সরকারি আমলা কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এ সকল দুর্নীতি বন্ধ করতে সরকারের নানা ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। তারপরও নানা কৌশল অবলম্বন করে দুর্নীতি করে থাকে অসাধু এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। এবার দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর ‘টেলিটকে’র দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টেলিটকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে এরপর তারা পলাতক রয়েছেন।
কানাডায় পলাতক টেলিটকের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (সিস্টেম অপারেশন) এসএম তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ১৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে হলফনামা আকারে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৪ জুলাই) মামলার অপর আসামি আবুল কালামের আপিলের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম ফজলুল হক। আপিলকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম নুরুল আলম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি এস. এম. তারেক রহমান ও আবুল কালাম ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে টেলিটকের পোস্ট পেইডে কনভার্টের মাধ্যমে ১২ দশমিক ৮২ কোটি মিনিট মিনিটপ্রতি দশমিক ৭৬ টাকা হিসেবে ৯ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।
কোম্পানি সচিব মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর গুলশান থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত ২০১৯ সালের ৬ মে আসামি এসএম তারেক রহমানকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা জরিমানা করেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর কোম্পানিতে এই ধরনের পুকুর চুরি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে তাদের দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসার পর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। পলাতক আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।