নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোঃ আহসান হাবীব খান বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্বাচন করব, তা হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো দল নির্বাচনে আসুক না আসুক এটা আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব নয়। তারপরও আমি আন্তরিকভাবে কামনা করছি সব দল অংশগ্রহণ করুক এবং নির্বাচন উৎসবমুখর হোক। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষম হয়। নির্বাচন কমিশন সব দলের অংশগ্রহণে আন্তরিক।
বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে তাদেরকে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বারবার বলা হয়েছে। কাছ থেকে দেখুন আমরা কতটুক খারাপ কতটুক ভালো।’
এর আগে বরিশাল জেলার সব নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনার। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য লিখিতভাবে উপস্থাপন করা হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আগে থেকে ফৌজদারি মামলা থাকে, সেটি ভিন্নভাবে আদালতে স্বাভাবিক গতিতে চলবে। এ ছাড়া সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ভোটে বাধা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছ মনোভাব দেখাতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী বা নেতাকর্মীদের মধ্যে যেন কোনো আতঙ্ক না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়ে তিনি বলেন, “সারাদেশে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট কেন্দ্রের খবর সংগ্রহ ও প্রচার করে। তাদের কাজে যাতে কোনো বাধা না আসে তা নিশ্চিত করুন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হবে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেটাই জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। মনে রাখতে হবে, গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে অযৌক্তিক বাধা সৃষ্টি হলে বিভিন্ন মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।