শ্রম আদালতে হাজিরা দিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মো. ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আদালতে হাজির হন। বেলা ১২টা ২২ মিনিটে এজলাসে উপস্থিত হন ড. ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ড. ইউনূসের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।
ইউনূসের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালতকে বলেন, এই মামলার তারিখ সুপার সনিক গতিতে পড়ছে। আমার দীর্ঘ আইনি জীবনে এমনটি দেখিনি। আমরা একটু প্রস্তুতি নেয়ারও সময় পাই না।
আইনজীবীরা জানান, শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলায় এরই মধ্যে ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। গত ২রা নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষী, ২৬শে অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী, ১৮শে অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, ১১ই অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী ও মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ১১ অক্টোবর আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয় বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের। গত ২২ আগস্ট সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ইউনূসের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। এরপর ৫, ১৩, ২০ ও ২৭ সেপ্টেম্বর এবং ৩ ও ১১ অক্টোবর সাক্ষীকে জেরা করেন ইউনূসের আইনজীবী।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হন। ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলায় শ্রম আইনের ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় শ্রম কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মোঃ শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।