ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৬০ জন বিশ্বনেতার খোলা চিঠির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশ থেকে যারা বিবৃতি দিয়েছেন, আমি তাদেরকে আহবান করি তারা এক্সপার্ট পাঠাক। তার বিরুদ্ধে যে মামলা তারা তা খতিয়ে দেখুক। উনারা এসে নিজেরা দেখুক।
মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধান তার সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
তিনি বলেন, এখানে কী অসঙ্গতি রয়েছে তা দেখতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়। এ দেশে কোম্পানি আইনে লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণে দিতে হয়। এখন সেটা যদি কেউ না দেয় এবং লেবাররা যদি মামলা করে, সেটা তো আমাদের বিষয় না।
আমাদের দেশে সবকিছুই আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সরকারের তিনটি অংশ একসঙ্গে চলে। আমরা এসবে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
কেউ যদি ট্যাক্স না দেয় এবং শ্রমিকের পক্ষ থেকে যদি মামলা হয় তাহলে আমাদের কি সেই হাত আছে যে, আমরা মামলা বন্ধ করে দেব? আপনারাই বলেন। চলমান যে মামলা সেটা বিচারাধীন বলে আমরা আলোচনাও করি না। সেখানে বাইরে থেকে বিবৃতি এনে মামলা প্রত্যাহার করার কথা বলা হচ্ছে!
আবার এই মামলা যেন না হয় সেজন্য ঘুষ দেওয়া। যারা এখন বিবৃতি দিচ্ছেন তাদের অনুরোধ করছি এভাবে বিকৃত না করে এক্সপার্ট পাঠাক। এখানে ট্যাক্স ফাঁকির বিষয় আসছে। এটাতে যদি কেউ ধরা পড়ে, তাকে তো ট্যাক্স ফেরত দিতে হবে।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। আদালতের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। যেখানে সরকারের পাওনা সেখানে টাকা আদায় করতে হবে। কর প্রদান সকল নাগরিকের দায়িত্ব। ইউরোপ বলেন, আমেরিকা বলেন তারা কি তাদের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়? ফিলিপাইনের নোবেল লোরিয়েটের বিরুদ্ধেও তো ট্যাক্স ফাঁকির মামলা দিনের পর দিন চলেছে।
আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক আছে। ব্যাংকের এমডিরা কাজ করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ছিলেন একজন সরকারি বেতনভোগী। তিনি বিদেশে কিভাবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট করেন, কীভাবে বাণিজ্য করেন?
যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা কি একবারও এই কথাটা জিজ্ঞেস করেছেন? তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে তাদের ডাকছি, আপনারা এক্সপার্ট পাঠান। কিন্তু আইন চলবে নিজস্ব গতিতে, আদালত চলবে স্বাধীনভাবে।