প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দুজনই হলেন খুব সম্মানীয় ব্যক্তি। দেশের সার্বিক অবস্থা তাদের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দুজনই হলেন অনেক বিচক্ষণ ও দক্ষ মানুষ। তাদের সেই বিচক্ষণতা ও দক্ষতা দিয়ে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন দেশ। তাই দেশ আজ পৌছে যাচ্ছে উন্নতির শিকরে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত পরিবার গঠনে জোর দিতে হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সোমবার পালিত হবে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। জনসংখ্যা সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ এবং এর সদস্য দেশগুলো ১৯৯০ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের আয়তন, জনসংখ্যা, সম্পদ, পরিবেশ এবং আর্থ-সামাজিক সমস্যা বিবেচনায় পরিকল্পিত পরিবার গঠনের কোনো বিকল্প নেই। আব্দুল হামিদ। তাই এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে আরও সক্রিয় দেখতে চান তিনি।
পরিকল্পিত ও প্রাণবন্ত মানবসম্পদকে ভবিষ্যৎ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার পরিধি ও গুণগত মান আরও বাড়াতে হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণীতে এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সোমবার পালিত হবে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘৮০০ কোটির বিশ্ব: সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে একটি প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি। জনসংখ্যা সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ এবং এর সদস্য দেশগুলো ১৯৯০ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতির বার্তা
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। দেশের জনসংখ্যা ক্রমাগত আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সীমিত করার জন্য পরিকল্পিত পরিবার গঠন অপরিহার্য।
‘দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হলে জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের টেকসই ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। ‘
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিত ও দক্ষ মানব সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিবার পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার পরিকল্পিত জনসংখ্যা গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তাহলে দেশের টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সবার সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত হবে। ‘
তাই সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয়তা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে বললেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
“জনসংখ্যা এবং উন্নয়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত,” তিনি বলেন। “যদি কোনো দেশের জনসংখ্যা তার আয়তনের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তা প্রতিটি সেক্টরে প্রভাব ফেলবে। তাই একটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি টেকসই হওয়ার জন্য, তার জনসংখ্যার পরিকল্পনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি পরিকল্পিত জনসংখ্যা একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিরাপদ মাতৃত্ব, কিশোরী স্বাস্থ্য, নারী শিক্ষা ও নারীর কর্মসংস্থানে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এসব উদ্যোগের ফলে মাতৃপ্রয়ান ও ছোটো ছেলে-মেয়ে প্রয়ানের হার কমেছে এবং পরিকল্পিত পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।” দেশের অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার পরিধি ও মান আরও বাড়াতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পিত ও প্রাণবন্ত মানবসম্পদ হোক। আসুন আমরা সবাই মিলে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধামুক্ত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কাজ করি।
প্রসঙ্গত, তারা দুজন যে সিদ্ধান্ত নেন সেই সিদ্ধান্তই দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে। কেননা তাদের সিদ্ধান্ত অনেক সুকল্পিত। জনগনের সার্বিক মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মত মানুষ পেয়ে বাংলার মানুষ সীমহীন গর্বিত ও আনন্দিত।