বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একসঙ্গে দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে দশম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। এ ছাড়া রোববার (১০ ডিসেম্বর) মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াত।
সোমবার জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৬ ডিসেম্বর বুধবার ভোর ৬টা থেকে ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। সেই সাথে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর রবিবার সারা দেশে জেলায় জেলায় মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জনগণের অনুভূতি উপেক্ষা করে আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে মূলত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলীয় লোকজনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে এবং ডামি প্রার্থী ঘোষণা করে সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিজের দলীয় নির্বাচনে পরিণত করেছে। এ ধরনের নোংরামি করে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও বৈধ করার অপচেষ্টা গণতন্ত্রের প্রতি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
জামায়াতসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে আটকে রাখা হয়েছে। গণগ্রেপ্তার করে সারাদেশে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের নির্যা”তন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৬ ও ৭ ডিসেম্বর (বুধ ও বৃহস্পতিবার) সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি এবং ১০ ডিসেম্বর সারাদেশে জেলায় জেলা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। .