Friday , December 13 2024
Breaking News
Home / National / এবার ই-কমার্স নিয়ে নতুন পরিকল্পনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

এবার ই-কমার্স নিয়ে নতুন পরিকল্পনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও অনলাইনে কেঁনা কাঁটার প্রবনতা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সুবাধে দেশে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি দেশে গড়ে উঠা বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের বিপুল পরিমানের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সরব হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এবং এই সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে সরকার।

ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রে/প্তা/রে/র পর ই-কমার্সের এ খাতটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্ভবনাময় এ খাতটিতে গ্রাহক প্রতারণা চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। ফলে বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কোনো নিবন্ধন না থাকায়, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। ফলে দিন দিন সমস্যা বাড়ছে। তবে ই-কমার্স খাতে বিশৃঙ্খলা ফেরাতে তৎপরতা শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন করে যারা ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত হতে চান এবং যারা ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। ই-কমার্সের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসার পর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটিফিকেশন নম্বর। গ্রাহকরা এ নম্বর যাচাই করে সঠিক প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেল মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটিফিকেশন নম্বর নিয়ে ই-কমার্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নম্বরের মাধ্যমেই গ্রাহকরা ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে পারবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সচিব (কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, নিবন্ধন ও আইডি নম্বর প্রদানের অংশ হিসেবে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে কাজটি সম্পাদন করা হচ্ছে। দ্রুতই আমরা সেবাটি নিয়ে আসতে পারব। তিনি আরও বলেন, যারা ই-কমার্সের ব্যবসা করবে, তাদেরকে নিবন্ধনের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। মন্ত্রণালয় তাদের আবেদন প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করবে। নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হবে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটিফিকেশন নম্বর। এই নম্বর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটসহ সবখানে প্রকাশ করবে। এ ব্যাপারে ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি ও ই-কমার্স উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। যাদের ট্রেড লাইসেন্স নেই তারাও নিবন্ধন করার সুযোগ পাবেন। ফলে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় উদ্যোক্তাদের জন্য তেমন কোনো সমস্যা হবে না। তবে সত্যতা যাচাইয়ে সব ধরনের তথ্য নেওয়া হবে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে দেশে সরকারী ভাবে কোন নীতিমালা না থাকায় ইতিমধ্যে দেশের অনেক গ্রাহক প্রতারিত হয়েছে। অবশ্যে বেহস কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং ব্যবস্থাপকদের আটক করেছে সরকার। এবং এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে নতুন বেশ কিছু নীতিমালা প্রনয়ন করেছে।

About

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *