ই-কমার্স সাইট ইভ্যালি এর কর্মকান্ড এখন সবার প্রকাশ এসেছে এবং এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে সাধারণ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে সেটি নিয়ে মানুষের মধ্যে এখন একরকম মিশ্র প্রতিক্রিয়া কাজ করছে তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষ হারিয়েছে তাদের অর্থ এবং সেই অর্থ আদৌ তারা পাবে কিনা সেটি নিয়ে এখন চিন্তায় কাটছে তাদের দিন
বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর এই সুযোগে ইভ্যালির কিছু কর্মকর্তা ওয়্যারহাউজ থেকে রাতারাতি বেশ কিছু মোবাইল ফোনসেট ভর্তি কার্টন ও মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সাভারের বলিয়ারপুরে ইভ্যালির ওয়্যারহাউজ থেকে ইভ্যালি ভোক্তাদের বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করতো। সেখানে মোবাইল ফোনসহ ইভ্যালির বিভিন্ন পণ্য মজুদ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এসব মোবাইল ফোন সাভারের বিভিন্ন ডিলারের কাছে বিক্রি করেছেন মোজাম্মেল। তিনি বলিয়ারপুর ওয়্যারহাউজে মানবসম্পদ বিভাগের প্যাকেজিং সেকশন ও স্টোর ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মোজাম্মেল বলেন, আমরা কিছু মোবাইল ওয়্যারহাউজ থেকে বের করে বাসায় নিয়ে আসি। সেগুলো বাসা থেকে ডেলিভারি করার কথা রয়েছে।
এদিকে ওয়্যারহাউজ থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার খবর পেয়ে আহাদ নামের এক গ্রাহক হেমায়েতপুরের বাগবাড়িতে মোজাম্মেলের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে প্রায় ৫০০-৬০০ মোবাইল ফোন দেখতে পান বলে দাবি করেছেন।
আহাদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমি ইভ্যালিতে মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলাম। তাই ওয়্যারহাউজ থেকে মালামাল সরানোর খবর পেয়ে মোজাম্মেলের শ্বশুরবাড়ি যাই। সেখানে কার্টনভর্তি আইফোন, রিয়েলমি, অ্যাপলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় ৬০০ মোবাইলসেট দেখেছি। বাইকের জন্য ইভ্যালিকে আমি যে টাকা দিয়েছি সেই টাকার সমপরিমাণ ফোন মোজাম্মেল আমাকে দিতে চেয়েছিলেন। এজন্য জাহাঙ্গীর নামের তার শ্যালকের ফোন নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর সাভার স্ট্যান্ড, ওয়্যারহাউজসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা করতে চেয়ে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। সবশেষে দেখা হলে তিনি বলেন, তিনি ইভ্যালির কেউ না। এই ফাঁকে মোজাম্মেল সব মোবাইল বিক্রি করে সটকে পড়েছেন।’
মোজাম্মেলের স্ত্রী মোনালিসা মোমো বলেন, ওয়্যারহাউজ থেকে আনা মোবাইলগুলো আবার ওয়্যারহাউজে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রেতা গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমি ইভ্যালির ওয়্যারহাউজ থেকে মোট পাঁচশ মোবাইলফোন কিনেছি।’ তবে মোজাম্মেলই তার কাছে ফোন হস্তান্তর করেছেন কি না তা নিশ্চিত করেননি এই ক্রেতা।
সস্তায় পূর্ণ দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল এর বিরুদ্ধে জানা যাচ্ছে নানান তথ্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করার পর রিমান্ডে তার মুখ থেকে অনেক তথ্য আদায় করতে সক্ষম হয়েছে তারা এবং ইভ্যালি নিয়ে কি পরিকল্পনা করেছিল রাসেল সেটি প্রকাশ এসেছে