ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একই প্যাকেজে অব্যবহৃত ডাটা যোগ করার সীমা অপসারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি ‘মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডেটা এবং ডেটা প্যাকেজের নির্দেশিকা, ২০২৩’ সংশোধন করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাহকের কাছে যা কিছু অব্যবহৃত ডেটা থাকবে, সে নতুন প্যাকেজ (একই প্যাকেজ) কিনলে তাতে যোগ হবে।
নতুন বছরের শুরুতে মোবাইল অপারেটরদের এ নির্দেশনা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অপারেটররা জানিয়েছেন, তারা ইতিমধ্যে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছেন।
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিটিআরসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে ৫০ জিবি পর্যন্ত ক্যারি ফরোয়ার্ড করা যেত। এখন কোনো পরিমাণ ডেটা অব্যবহৃত থাকলে গ্রাহক পুরো ক্যারি ফরওয়ার্ড পাবেন। আমরা গ্রাহকদের আগ্রহকে গুরুত্ব সহকারে নিই এবং ভবিষ্যতে তা করতে থাকব।
বিটিআরসি সূত্র অনুসারে, পূর্ববর্তী নির্দেশিকাগুলির ৭.৫ ধারায় বলা হয়েছে যে একজন গ্রাহক যদি প্যাকেজটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্যাকেজটি পুনরায় ক্রয় করেন (শর্ত বা ভলিউম ইত্যাদির সাথে) তাহলে পূর্ববর্তী প্যাকেজের অব্যবহৃত ডেটা বহন করতে পারবেন। গ্রাহক ৫০ জিবি পর্যন্ত ক্যারি ফরওয়ার্ড পাবেন।
নতুন সংশোধনী অনুসারে, গ্রাহকের ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, অব্যবহৃত ডেটা বোনাসের সাথে এগিয়ে নেওয়া হবে। এই ক্ষেত্রে গ্রাহককে আগের প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই ডেটা প্যাকেজ (এমনকি ভিন্ন মেয়াদের হলেও) কিনতে হবে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশে মোবাইল সিম গ্রাহকের সংখ্যা ১৯.৩৬ মিলিয়নে পৌঁছেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে চারটি মোবাইল কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৮২১ লাখ ৪০ হাজার, রবির ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার, বাংলালিংকের ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার এবং টেলিটকের গ্রাহক ৬৪ লাখ ৬০ হাজার।