সম্প্রতি ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন মহলে। কলেজ সভাপতি-সাধারন সম্পাদকরের নেতৃত্বে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতিকে মা/রধারের ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তাপ সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র বেরিয়ে আসতে থাকে ভয়াবহ সব তথ্য ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারন সম্পাদকরের বিরুদ্ধে। ইডেন কলেজ নিয়ে পোস্ট দিয়ে যা বললেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরিয়ার ফারুকী।
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সং/ঘর্ষ ও মা/রামারির ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রলীগের নামে চাঁদাবাজি, আসন-বাণিজ্য, ছাত্রীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানোসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তারকা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি সেটি মুছে ফেলেন।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে আগের পোস্টটি ডিলিট করার কারণ জানান ফারুকী। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ফারুকী লিখেছেন, গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) ইডেন কলেজ নিয়ে পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আমি সেটা মুছে দেই। আপনারা জানেন, সোশ্যাল মিডিয়া খুব তাৎক্ষণিক একটা মাধ্যম। এখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থাকে বেশি। কিন্তু আজকে একদিন চিন্তা করার পর আমি এই বিষয়ে আরেকটু গুছিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। কারণ এটা খুবই সিরিয়াস একটা বিষয়।
পোস্টটি মুছে ফেলার কারণ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, আমার পোস্ট ডিলিট করার কারণ ছিল কয়েকজন অভিভাবকের চিঠি। তারা লিখেছেন, এই অভিযোগ আসার ফলে ঢালাওভাবে সবার প্রতি আঙ্গুল তুলছে সবাই। বাবা-মা হিসেবে তারা খুবই বিব্রত।একজন তার মেয়ের বিয়ে সম্পর্কিত আলোচনা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে জানিয়েছেন। এই চিঠি পড়ার পর আমি সত্যিই একটু নড়ে উঠি। পরিবারের এই উদ্বেগ কিন্তু বাস্তব। আমি সেটা এড়াতে পারি না।
একটি জিনিস স্পষ্ট করা প্রয়োজন, নির্মাতা যোগ করেন. জোরপূর্বক যৌ/নতা বা যৌ/ন শোষণের অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত। এ অভিযোগ সরাসরি আসছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে, যার সমর্থন জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী। বিষয়টা হল, ছিত্র হাজার ছাত্রী ছাত্রীদের মধ্যে ২০ জনও যদি এর শিকার হয়, তবে এটি একটি জঘন্য সংগঠিত অপরাধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ভয়াবহ অপরাধ চলতে পারে না।
অভিযোগের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে ফারুকী লিখেছেন, তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে কলেজ প্রশাসনকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে কীভাবে হলগুলোকে এসব অন্যায়ের হাত থেকে মুক্ত করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে হবে। পাশাপাশি এটাও বলা দরকার, এটা ত্রিশ হাজার ছাত্রীর বাস্তবতা না। ফলে ঢালাওভাবে মেয়েদের হোস্টেলে এই-ই ঘটে জাতীয় সরলীকরণ বা ফ্যান্টাসিকে যেনো প্রশ্রয় না দেই আমরা।
প্রসঙ্গত, ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে সেটির জন্য দোষী ঢালাও ভাবে সকল শিক্ষার্থী ওপর দেওয়া কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তসহ দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান জনপ্রিয় এই নির্মাতা।