সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বং/স করে এ দেশের মানুষের ভোটাধীকার কেড়ে নিয়েছে। বিনা ভোটে ক্ষমতা দলখ করে দেশের গনতন্ত্রকে হ/ত্যা করে একনায়কতন্ত্র কায়েক করেছে সরকার দাবি বিএনপির। দেশের টাকা বিদেশে পাচার ও দুর্নীতির করে দেশকে আজ বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে সরকার বলে মন্তব্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন করে দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। জনতার সুনামিতে ভেসে যাবে সরকার মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজকে জনগণ জেগে উঠেছে এবং এই সরকারের পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাজপথে জনতার যে ঢল নামবে, সমুদ্রের যে ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউয়ে যে সুনামি সৃষ্টি হবে, সেই সুনামিতে এই সরকার আর আওয়ামী লীগ ভেসে চলে যাবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিপর্যয়, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গু/লি ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে যৌথ পেশাজীবী পরিষদ।
পেশাজীবীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি আজ বিপন্ন, তারা দেশের গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করেছে। তাই আন্দোলনের বিকল্প নেই।
বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়েও সরকার প্রতারণা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে সরকার খুব ভদ্রলোক হয়ে গেছে। আমরা কালকেও (বৃহস্পতিবার) একটা সমাবেশ করেছি। খুব বেশি ঝামেলা করে নাই। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের চাপে দেখানো হচ্ছে তারা বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। এটা প্রতারণা।
সদস্য সচিব প্রফেসর এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান প্রমুখ। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মালেক। কুদ্দুস ছাড়াও বক্তব্য দেন প্রকৌশলী সমিতির রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফুদ্দিন বকুল প্রমুখ।
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানীতে তার কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, উত্তর সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। ও সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশের জনগন এই ফ্যাসিবাদি সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহসচিব বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের টাকা লুটপাট করে দেশের পরিস্থিতি সংকটের মুখে ফেলেছে যার ফল ভোগ করছে দেশে সাধারন মানুষ।