জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে দুই সপ্তাহের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। ভোট বর্জনের অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জনগণকে নিরুৎসাহিত করাই তাদের কর্মসূচি।
সরকার পতনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর একদলীয় আন্দোলনে অসহযোগের নতুন মাত্রা। নির্বাচন বিরোধী প্রচারণা এবং নির্বাচনে যেতে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে ১৫ দিনের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। গণসংযোগের পাশাপাশি সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চায় নির্বাচন বর্জনকারী সব দল এই আন্দোলনকে সমর্থন করুক। এই ১৫ দিন সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে চায় দলটি।
ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির নেতারা। অতীতের মতো এবারও নির্বাচন বিতর্কিত হবে দেশে-বিদেশে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। এই নির্বাচন একতরফা নির্বাচন, ক্ষমতায় থাকার নির্বাচন।ভোটাধিকার ফিরে পাবার নির্বাচন নয়। ‘১৪ এবং ‘১৮ সালে তো তারা ভোট ছাড়া তাদের ইচ্ছামতো নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার হবে আওয়ামী আর ডামি মার্কা নির্বাচন। আওয়ামী আর ডামির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে পৃথিবীর কোথাও নির্বাচন বলবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দিহান বিএনপির এই নেতা।
এদিকে ভোটার বৃদ্ধিতে সরকারের কোনো কৌশল কাজ করবে না বলেও মনে করছেন বিএনপি নেতারা।
দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, শুধু ভোটারদের নিরুৎসাহিত করা নয়, আমাদের কাজ হলো জনগণকে দেখানো যে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাচ্ছে না, কেন বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন নির্বাচন বর্জন করছে বা ভোটাররা কেন অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন এড়িয়ে যাচ্ছেন। জনগণকে অ”স্ত্রের মুখে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। একজন ভোটারের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোনো দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা বা নির্বাচনী কাজে অংশ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।