গণহারে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ আসামিদের ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়িতে কোনো বাধা নেই। এছাড়া এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের নজরে আনেন, গত ১৫ জানুয়ারি এক ছাত্রদল নেতাকে তার বাবার জানাজায় আনা হয়েছিল। ওই দিনই আদালত এ বিষয়ে একটি রিট করার পরামর্শ দেন।
পরে গত ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতাকে আনার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরা বন্ধের দাবি জানানো হয়।
‘ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়লেন ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে গত ১৩ জানুয়ারি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার।
গত শনিবার বেলা তিনটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও পায়ের ডাণ্ডাবেড়ি খোলেনি। মোঃ নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে পুলিশ তাকে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায়।