বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার নামে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তার সাজা হয়। এতে তিনি অনেক দিন কারবাস করেন। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে এখন তিনি কারাগারের বাহিরে আছেন। এবার দুটি মামলায় তাকে স্থায়ী জামিন দিল আদালত।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দুই মামলায় তাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
তার সমস্ত মামলা:
এর আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১টি মামলার শুনানির জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে পৃথক আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এ আদেশ দেন। বুধবার (০৮ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম এমরুল কায়েস শুনানি মুলতবি করে এ আদেশ দেন। ওইসব মামলায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।
১১টি মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১টি মামলার মধ্যে ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০টি মামলা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ২০১৬ সালে ২৫ জানুয়ারী ঢাকার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ জন যাত্রী দগ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃ/ত্যু হয়। ওই ঘটনায় পরদিন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
এছাড়া ২০১৫ সালে দারুসসালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা হয়। এই আট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার আরও তিনটি আদালতে তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের দুটি মামলা ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন।
বিএনপির লাগাতার আন্দোলনে আগুন দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুটি মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অন্যান্য মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।