বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের সবচেয়ে বড় সেক্টর রেডিমেট গার্মেন্টস। বাংলাদেশের সিংহ ভাগ রপ্তানী আয় হয় এখান থেকে। বর্তমানে এই সেক্টর নিয়ে কিছু দুষ্টচক্র দ্বন্দ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। গার্মেন্টস শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন,কারর প্ররোচনায় নৈরাজ্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কারো উস্কানিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় নামলে আম-ছালা দুটোই হারাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৬ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে কার্যত যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি পক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
এর আগে সোমবার (৮ জুন) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজধানী মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাক শ্রমিকরা। আজ সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শত শত পোশাক শ্রমিক।
পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে শ্রমিকরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও পাথর ছুড়তে থাকে। পুলিশও শ্রমিকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ বিষয়ে পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (টহল) মাহবুব বলেন, মিরপুর ১৩ নম্বর সড়ক অবরোধ করে রেখেছে শ্রমিকরা। আমরা তাদের সরানোর চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শনিবার (৪ জুন) দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। ওই দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত মিরপুরের ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। পরদিন রোববার (৫ জুন) বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এদিন মিরপুর ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪সহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দাবি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় তাদের মজুরি তেমন বাড়েনি। ফলে চলতি বেতন দিয়ে মাস কাটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি মালিকদের জানানো হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে নিত্য পন্যের দাম বৃদ্ধিতে জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোল করছে। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মালিক পক্ষকে বার বার বলার পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়া তারা রাস্তাই নামতে বাধ্য হয়েছেন।