Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার আমেরিকাকে নিয়ে সংসদে বসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন অজানা কথা, জানা গেল সেই ব্যাপারে

এবার আমেরিকাকে নিয়ে সংসদে বসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন অজানা কথা, জানা গেল সেই ব্যাপারে

জাহিদ মালেক হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যা্ছেন। তিনি দেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন রাজনীতিবীদ। জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নিরবাচিত হন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন আমেরিকা থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দাঁতের চিকিৎসা ও পেটের চিকিৎসা সবই আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসে। ২০২২-২০২৩ বাজেট পাস হওয়ার আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছ থেকে বরাদ্দের জন্য অনুমোদন চেয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদে আলোচনার সময় বিরোধী আইন প্রণেতাদের মন্তব্যের জবাব দিচ্ছিলেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এদেশে ১৭ কোটি মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোভিডের সময়, যখন কেউ বাইরে যেতে পারেনি, বাংলাদেশে এই ১৭ কোটি মানুষের চিকিৎসা হয়েছে। কাউকে বাইরে যেতে হয়নি।

বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনেকেই কথা বলছেন। কিছু লোক বাইরে গেলে আমরা তাদের এখানে রাখতে পারব না। যত ভালো সার্ভিসই হোক না কেন তারা এখানে সেবা নেবে না। তারা আমেরিকা যাবে, তারা ইউরোপে যাবে, তারা সিঙ্গাপুর যাবে। এই স্বাভাবিক. তবে আমেরিকা থেকে অনেক রোগী ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাংলাদেশে আসেন।

তিনি বলেন, ২৫ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন ফ্রি পাওয়া গেছে। আমরা নিজেদের অর্থায়নে ভ্যাকসিন দিয়েছি প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডোজ। সব মিলে ভ্যাকসিন দিতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা লেগেছে। আর বিদেশ থেকে আমার ১০ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পেয়েছি। তার দাম প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন দিতে হয়েছে। এটাও দেশের অর্জন, প্রধানমন্ত্রীর অর্জন।

তিনি বলেন, আমরা টেকনিশিয়ান নিয়োগের চেষ্টা করেছি। কিছু সমস্যা ছিল এবং আমরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করেছি। যদি কোন সমস্যা হয়, আমি এটি বাতিল করি। আমি কোথাও ছাড় দেইনি। যেসব হাসপাতালের মান ঠিক নেই আমরা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা ৩ হাজার বন্ধ করেছি। প্রয়োজনে আমি আরও বন্ধ করব, যদি মান পূরণ না হয়। নকল ওষুধ তৈরির ২০টি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের টিকা দেওয়ার কথা ভাবছি। ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাহিদ মালেক অনেক দায়িত্ববান একজন মন্ত্রী। তিনি তার দায়িত্ব পালন থেকে এক চুলও বিচ্যুত হন না। তিনি দায়িত্ববান বলেই দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রানালয়কে দক্ষ হাতে পরিচালনা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *