বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য বিএনপির এই শীর্ষ নেতার বাড়ি ঘেরাও করে।
এর কিছুক্ষন আগে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাড়িও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘেরাও করে।
এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। এদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও রাজধানীতে সমাবেশ ডেকেছে। এটা রাজনীতিতে অনেক উত্তাপ ছড়ায়। ডিএমপির অনুমতিক্রমে নয়াপল্টনে লাখ লাখ মানুষের সমাগম এবং যথারীতি মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
তবে এক পর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সং/ঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানী। পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বু/লেট ও সাউন্ড গ্রে/নেড নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মহাসম্বেষের কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। মঞ্চ ছাড়ার আগে রোববার দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সং/ঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবল নি/হত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন সদস্য। এছাড়া এক যুবদল নেতারও মৃ/ত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী।
পুলিশ সদস্যের মৃ/ত্যুর ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও অন্তত পাঁচটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। এসব মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা আসামি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।