বিএনপির ডাকা সপ্তম দফা অবরোধ আগামীকাল রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অবরোধে নেতাকর্মীদের ‘সাহসিকতার সঙ্গে’ রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, রোববার থেকে শুরু হওয়া অবরোধে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে হবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সকলের অংশগ্রহণে এই আন্দোলনকে আরও ব্যাপক, দ্রুত ও উজ্জ্বল করতে হবে। মনে রাখবেন, দেশের গণতান্ত্রিক জনগণ এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদী শাসন দেখতে চায় না, তাদের পতন হবেই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জোটভুক্ত একটি দলের শীর্ষ নেতা যেহেতু এই ভুয়া নির্বাচনে যেতে চাননি, সেহেতু ওই নেতাকে পাঁচ তারকা হোটেলে বিভিন্ন সংস্থার হাতে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। পরে নির্বাচনে যাওয়া ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে নৈশ বাহিনী নেতাদের ঘরে ঘরে হা/মলা চালাচ্ছে। এভাবেই নির্বাচনের পথে হাঁটছে মাফিয়ারা। তবে এই নির্বাচনী নাটক স/হিংস আন্দোলনে ভেস্তে যাবে। আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকারের প/তন উদযাপন করবে জনগণ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন এখন তামাশা, বাণিজ্য ও প্রহসনে পরিণত হয়েছে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে টার্গেট করে অর্থ ও এমপিদের লোভ দেখিয়ে কিং পার্টি-ভুইফোর্ড দলে রাজনৈতিক নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তারা কোন নীতিবান, আদর্শবান, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ নির্বাচন করতে পারছে না। কিছু ডিগবাজিমার্কা-দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের বন্দী করে তাদের নির্বাচনী মঞ্চে অভিনেতা বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, একদিকে এই প্রতারক মাফিয়া সরকার নির্বাচনে আসার কথা বলছে, অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ আন্দোলনের সক্রিয় ও সাহসী নেতাদের টার্গেট করছে। বিএনপি। নির্বাচনে অযোগ্যতার জন্য কাউকে দুই বছরের কম সাজা দেওয়া যাবে না।