তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
রিজভী বলেন, দেশে তীব্র অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে একতরফা বিভাজন নির্বাচনের প্রহসনে রাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তুতি চলছে। জনগণের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয়ের জন্য মাফিয়াদের দোসর সিইসি গংকে দায়ী করতে হয়।
তিনি বলেন, জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে নৌকা, ডামি আওয়ামী লীগ ও কিছু নামহীন ভুইফোড় দলের লোকজন নিয়ে ডামি নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। তবে এই ভুয়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরাও বেশ সন্দিহান। বাস্তবতা হলো দেশের ১৮ কোটি মানুষ এই নির্বাচন হতে দেবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখনো সময় আছে একতরফা প্রতিযোগিতাহীন ভোটারদের নিয়ে তামাশার নির্বাচনের সার্কাস বন্ধ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।
কম্বোডিয়ার উদাহরণ টেনে রিজভী বলেন, হুন সেনের দল সিপিপি গত জুলাইয়ে কম্বোডিয়ার নির্বাচনে জয়লাভ করে। নিজের তৈরি করা কিংস পার্টিকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি অভূতপূর্ব শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছেন। কম্বোডিয়ার হুন সেনের এই প্রহসনমূলক নির্বাচন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কবাণী উপেক্ষা করলেও নির্বাচনটি পণ্ড হয়ে যায়। স্বৈরশাসক হুন সেন নির্বাচনের পর ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের কারণে বাংলাদেশের অবস্থা কম্বোডিয়ার চেয়েও খারাপ। গণতান্ত্রিক বিশ্বের সকল হুঁশিয়ারি ও আহ্বান উপেক্ষা করে ভুয়া নির্বাচনের সার্কাস করছেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রকাশ্যে দেশের জনগণের আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন। অচিরেই তার ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা ভেস্তে যাবে, ইনশাআল্লাহ।